বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:-
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-৪)। সোমবার(৮ মে) পাথরঘাটায় তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছহেরাবাদ এলাকার মৃত নাদের আলী খানের ছেলে ফজলুল হক খান (৭০), মৃত আব্দুল করিম এর ছেলে মো. ইউসুফ আলী (৭৫) এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ছোট টেংড়া এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৬৯)।
২০১৭ সালের ২২ মে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মান্নান হাওলাদার, তার ভাই আবদুর রাজ্জাক, বোন জামাতা হযরত আলীসহ ৪ থেকে ৫ জন খাকি পোষাকধারী ও ৫ থেকে ৭ জন অজ্ঞাত সাদা পোষাকধারীকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা নম্বর সিআর-১২২/২০১৭। সে সময় গ্রেফতারকৃত আব্দুর রাজ্জাকের নাম মামলায় উল্লেখ থাকলেও ফজলুল হক খান ও ইউসুফ আলীর নাম উল্লেখ ছিলো না। তারা সম্পর্কে মামা ও ভাগিনা।
ফজলুল হক ও ইউসুফ পরিবারের দাবি পূর্ব শত্রুতার জেরে কেউ মামা ও ভাগ্নেকে জড়িয়ে দিয়েছি। তারা দুজনই বার্ধক্য ও সহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত অসুস্থ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান আবু ২০১৭ সালের ২২ মে পাথরঘাটা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০২/৩৪/৩৮০/৩৫৪/ ৪৩৬/২০১ ধারায় পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ানুজ্জামানের আদালতে আবেদন করলে আইনী পর্যালোচনা শেষে ওইদিন বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলাটি স্থানান্তরের আদেশ দেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলাটি আমলে নেন। যাহার নম্বর ৮/২০১৯
মামলার আবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ জুন মামলার ৪ নম্বর সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে রাজাকার জালালের বাড়ির সামনে ওয়াপদার উপরে বসে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুড়ি চালায়। পরদিন ৩০ জুন চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে হত্যা করতে না পেরে তার আপন চাচা সুরেন্দ্র নাথ অধিকারীকে হত্যা করে লাশ গোপন করে ফেলে। ১৮ আগস্ট বাদির বাবা মতিয়ার রহমান ও ১নং সাক্ষী মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রীর বাবা মনোহর মিস্ত্রী চাচা কর্নধর মিস্ত্রীকে দিনের বেলা গুলি করে হত্যা করে। পরে মনোহরের বাড়ি অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, র্যাব ৩ জনকে থানায় নিয়ে এসেছে, আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আগামীকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাজির করার কথা তিনি বলেন।