বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি সংঘবন্ধ প্রতারক চক্র নিজেদেরকে কখনও হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট কখনও ডিজিএফআই এর মেজর ইত্যাদি পরিচয় দিয়ে সহজ সরল ও নিরীহ লোকজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। চক্রটি রাজশাহী জেলার চন্দ্রিমা থানাধীন ছোটবনগ্রাম এলাকার শেখ আব্দুল্লাহ (৩৭), পিতা-মৃত ইমাম শেখ এর নিকট হতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে সর্বমোট ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেয়। একপর্যায় ভিকটিম শেখ আব্দুল্লাহ বুঝতে পারে যে সে প্রতারনার স্বীকার হয়েছে। পরবর্তীতে ভিকটিম শেখ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা মুক্তা পারভিনসহ ০৭ জনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৩, তারিখ- ০৩/০৩/২০২৪ইং, ধারা- ১৭০/৪২০/৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে চক্রটির সকল আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০১ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক দুপুর ১৪:১৫ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী জেলার সদর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ভূয়া হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মুক্তা পারভিন (৩১), পিতা-মোঃ মোজাহারুল ইসলাম, সাং-লোদীপুর, থানা-ধামইরহাট, জেলা-নওগাঁ’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত ভূয়া হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারনাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।