প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৪:০৩:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নড়াইলের লোহাগড়ায় দু’সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহত শেফালী বেগম ওরফে আন্না (৫০) জয়পুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আলিম শেখের স্ত্রী। পুলিশ সোমবার বেলা ১১ টার সময় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার জন্য দূর্বৃত্তরা এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হতে পারে বলে এলাকাবাসী ও স্বজনদের ধারণা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের দু’সন্তানের জননী শেফালী বেগম তার মাদ্রাসা পড়–য়া মেয়ে নাহিদা খানমকে রাতের খাবার দেওয়ার জন্য জা পারুল বেগম সাথে নিয়ে রবিবার রাত ৮ টার দিকে পাশ^বর্তী মাদ্রাসা খাদিজাতুল কোবরা কওমী মাদ্রাসায় যায়। শেফালী ও তার জা পারুল বেগম সেখান থেকে বাড়ি ফিরে এসে রাতের খাবার শেষে যার যার বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে। সোমবার সকালে শেফালী ঘুম থেকে না ওঠায় স্বজনদের সন্দেহ হয় এবং এক পর্যায়ে জা পারুল বেগম ঘরের পেছনের দরজার ছিটকানি বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে শেফালীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা বঠি ও সোনার গহনার ৫টি খালি বক্স জব্দ করেছে।
উল্লেখ্য যে, নিহত শেফালী বেগমের স্বামী জাহাজে কর্মরত, বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
নিহত শেফালী বেগমের দেবর আবেদ শেখ (৪৮) অভিযোগ করে বলেন, ‘টাকা ও সোনার জন্য আমার ভাবীকে খুন করা হয়েছে, আমরা এ নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই ’।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের বিষয়ে জোর তদন্ত চলছে।
Design & Developed by BD IT HOST