আব্দুল আহাদ, (বগুড়া)নন্দীগ্রামঃ
বিএনপির সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন সংসদ থেকে পদত্যাগ করার পর বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসন এখন ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এই আসনটিতে হবে উপ-নির্বাচন। এনিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে চা-স্টল পর্যন্ত একই আলোচনাকে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। তবে এইমূহুর্তে দুই উপজেলায় আলোচনার জায়গাটা দখল করে আছে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা।
জানা গেছে, বিএনপি উপ-নির্বাচনে অংশ নেবে না, তাই দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয় নিশ্চিত-এমন ভাবনা থেকে প্রার্থীতার ব্যাপারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাই বেশি তৎপর। বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন মোশাররফ হোসেন। গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র দিলে তা গ্রহণের পর সংসদ সচিবালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই আসন শুন্য ঘোষণা করে।
সংবিধান অনুযায়ী, ৯০ দিনের মধ্যে শুন্য আসনগুলোতে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। নির্বাচনি সমঝোতার কারণে ক্ষমতাসীন দলটি বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলীয় জোটের শরীক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদকে ছেড়ে দিয়েছিল।বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগের অন্তত ৭ নেতা মনোনয়ন চাইবেন। তারা হলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও তার সহধমর্নী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজা বেগম, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক আহসানুল হক ও তৌহিদুল করিম কল্লোল।এছাড়া এই আসনে জাসদের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেনও তার দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। তিনি এর আগে ২০১৪ সালে ওই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এদিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন মোস্তফা ফারুক ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম দয়া। তবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন মোস্তফা ফারুক দাবি করেছেন, ওই আসনে দলের পক্ষ থেকে তাকে আগাম মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা জানিয়েছেন, তিনি দলকে সুসংগঠিত করেছেন। এরআগে জেলা পরিষদের নির্বাচনে শতভাগ ভোট পেয়ে সদস্য পদে বিজয় লাভ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুই উপজেলায় করোনাকালীন সময়ে ১৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নৌকার কান্ডারি হিসেবে যাকে যোগ্য মনে করবেন, তার পক্ষেই কাজ করব। দলের প্রয়োজনে তিনি আমাকে মনোনয়ন দিলে প্রার্থী হব।’ পাশাপাশি সব সময় সকল শ্রেণী মানুষের পাশে ছিলাম, আছি ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবো ইনশাআল্লাহ।