প্রশ্ন রইলো আপনাদের কাছে ? নিউজ ডেক্সঃ কথাটা শুনতে বেমানা হলেও সত্যি। বর্তমান বাস্তবতায় নারীদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী”একবার এক স্কুলে স্থানীয় নারীরা একটি সাধারণ সভার আয়োজন করেন। সেখানে কথা বলতে যেয়ে এক নারী বললেন যে, “নারীদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী।” কথাটা শেষ করতে না করতেই একজন ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়ালেন। প্রতিবাদের সুরে বললেন, ‘আপা, আপনার কথাটা মানতে পারলাম না। পুরুষ মানুষের আবার লজ্জা দেখলেন কোথায়? ওরা তো বেশরম- বেলাজ। প্রথম নারী দ্বিতীয় নারীর বক্তৃতা থামিয়ে বললো- “আপা, আপনি কী করেন? তিনি বললেনঃ এই স্কুলে শিক্ষকতা করি। প্রথম নারী বললো , কয়জন পুরুষ আর কয়জন ম্নারী শিক্ষক আছেন এই স্কুলে? তিনি বলেন, আমরা সমান সমান। চার জন পুরুষ চার জন নারী । হাসি মুখে উত্তর দিলেন ভদ্রমহিলা। প্রথম নারী বললো, আপা আপনি কি কোনো দিন আপনার পুরুষ সহকর্মীদের পেট-পিঠ দেখেছেন? ” ভদ্রমহিলা ভ্রু কুচকে তাকালেন। বললেন তার মানে..? প্রথম নারী বললো “দেহ প্রদর্শন করা নির্লজ্জতা। কিন্তু এই কাজটা সাধারণত পুরুষেরা করেনা। আপনার যদি কখনো ইচ্ছে হয়, আপনার কোন পুরুষ সহকর্মীর পেট কিংবা পিঠ দেখবেন, তাহলে তাকে ডেকে বলতে হবে ভাই আপনার শার্ট কিংবা পাঞ্জাবীটা একটু উপরে তুলুন তো,আমি আপনার পেঠ কিংবা পিঠ তা একটু দেখব। সেই ভাই তখন নির্ঘাত আপনাকে পাগল মনে করবে। আর আপনার পেট-পিঠ কতোভাবে কতো এ্যাংগেলে কতো শত পুরুষ- মহিলা দেখছে তার কি কোনো হিসাব আছে?? পুরুষেরা পেট পিঠ বের করা পোষাক পরে বাইরে কিংবা অফিস-আদালতে যাবে না, এটা তাদের স্বাভাবিক লজ্জা। যা থাকা উচিত ছিল নারীদের। অথচ নারীরা কীভাবে গলাটা আর একটু বড় করে কাঁধ এবং বুকের উপরি অংশ বের করা যাবে, কীভাবে জামার হাতার উপরি অংশ কেটে মাসেল দেখানো যাবে- সেই চেষ্টা করে। লজ্জাহীনতা নারীদের অস্থিমজ্জায় এমনভাবে ঢুকে গেছে যে, এ বিষয়টাকে তারা লজ্জার বিষয় বলে মনেই করে না…! পোস্টটা হয়ত কারো কাছে খারাপ লাগবে। কিন্তু শিক্ষামূলক পোস্ট হিসেবে সবার পড়ার দরকার আছে।বলে আমি মনে করি। ছবিটা খুব প্রাসাঙ্গিক মনে হলো বলে। খারপ লাগলে ক্ষমাপ্রার্থী।