বরগুনা জেলা প্রতিনিধি মোঃ সরোয়ার
বরগুনা: বরগুনায় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম পনু আকন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আকাইদ হোসেন ঠাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ মে) বরগুনা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মদ।
এর আগে শুক্রবার (১২ মে) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের এক সময়ের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম পনু আকনকে স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আকাইদ হোসেন ঠাণ্ডা ও মোতাহার মৃধা গ্রুপ ২ মে রাত সাড়ে ৮টার সময় পাকুরগাছিয়া নিজ বাড়িতে ঠাণ্ডা ও মোতাহার মৃধা বাহিনী কুপিয়ে হাত-পা কেটে জখম করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পনু আকনের বুকের উপর উঠে উল্লাস করে কতিপয় আসামিরা।
পনু আকন মৃত্যুর আগে পানি পানি বলে চিৎকার দিলে মোতাহার মৃধা ও কুদ্দুস খা পনু আকনের মুখে প্রস্রাব করে দেয়। পরে আহত পনু আকনকে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাক মৃত্যু বলে ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় পনু আকনের স্ত্রী মারজিয়া আকতার ছবি বাদী হয়ে ৪ মে বরগুনা থানায় আকাইদ হোসেন ঠাণ্ডাকে প্রধান আসামি করে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য ঠাণ্ডা ঢাকার একটি (পিজি) হাসপাতালে ভর্তি হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন শুক্রবার (১২ মে) সকালে ঠাণ্ডাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী মারজিয়া আকতার ছবি বলেন, আমার স্বামীকে যখন ঠাণ্ডা মোতাহার বাহিনী এলোপাথারীভাবে কোপাতে থাকে তখন আমার স্বামী আত্মরক্ষার জন্য একটি দা দিয়ে কোপ ফিরাতে চেয়েছে। এতে ঠাণ্ডা সামান্য আহত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমি মামলা করার পরে ঠাণ্ডার মা রোকেয়া বাদী হয়ে আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় একটি মিথ্যা মামলা করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, ইতোপূর্বে ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে ৪ জনকে রিমাণ্ডে এনেছি। শুক্রবার প্রধান আসামি ঠাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টায় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম পনু আকনকে কুপিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে নিজ বাড়িতে হত্যা করে। পরে পনু আকনের স্ত্রী মারজিয়া আকতার ছবি বাদী হয়ে আকাইদ হোসেন ঠাণ্ডাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় একটি মামলা করেন।