প্রতিনিধি ৩ এপ্রিল ২০২৩ , ১২:১০:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
সানজিদ মাহমুদ সুজন,নিজস্ব প্রতিবেদক শরীয়তপুর : শরীয়তপুর জেলার, জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,নতুন নতুন অবকাঠামোগত উন্নয়ন,পুরানো জরাজির্ন অবকাঠামো,ময়লা আবর্জনা,ডোবায় লাশ,ডাক্তার অনুপস্থিতী সর্বশেষ টেন্ডার নাট্যায়নের মতো কার্যক্রমে জনগনের ভোগান্তি ও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে,এমনটাই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহামুদুল হাসানের।
ডাঃ মাহামুদুল হাসান,দির্ঘদিন যাবৎ জাজিরা উপজেলা স্ব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার উপজেলা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।তিনি বাংলাদেশ ইউ,এইচ,এন্ড এফ ও এসোসিয়েশন এর সভাপতি মনোনীত হয়েছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে। কর্মক্ষেত্রে পেয়েছেন প্রধামন্ত্রী হতে চলাচলের গাড়ি।ব্যাক্তি হিসাবে চলাফেরা করেন খুবি দাম্ভিকতা নিয়ে।কেনোই চলবেন না, রাজনৈতিক ভাবে কোন সক্রীয় অংশগ্রহন না থাকলেও দাবর দাবর নেতাদের সাথে রয়েছে তার স্বক্ষতা।এমনটাই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেবাগ্রহিতা,ও স্থানীয় মানুষের কাছে।এই মূহুর্তে বেশ কয়েকটি কারনে,জাজিরা উপজেলায়, তিনি রয়েছেন আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
*গত ১৩/০২/ ২৩ ও ১৫/০৩/২৩ জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই এর কারন দেখিয়ে দরপত্র বন্ধ করা হয়।আবার ঐ একি দরপত্র দ্দ্বিতীয় বার আহবান করে সকল ধরনের স্বচ্ছতা রেখে, শুধু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দেওয়া সর্বনিম্ন রেট ঠিকাদারদের সামনে উন্মুক্ত করেন নি,এতে পূনরায় ঠিকদার গ্রুপের একাংশ তার স্বজনপ্রিতির কথা তুলে অভিযোগ করেন টেন্ডারকে নিয়ে।যে কারনে টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হলে আলোচনায় আসেন তিনি।* গত করোনাকালিন সময়ে করোনা সেবা ও তার টিম সহযোগিদের আর্থিক অনুদান ও সকল কার্যক্রম নিয়ে কিছু কর্মচারি ও আউটসোর্সিং জনবলের সমালোচনা অভিযোগের মুখে পড়েন তিনি।* করোনা কালিন সময় কালে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহনকালে ভর্তি রোগির লাশ ডোবায় পাওয়াগেলে, তার দায়িত্ব ও ভুমিকা নিয়ে,রোগির আত্মীয় স্বজনের অভিযোগ ও প্রশ্নের সমালোচনার মুখে পরেন তিনি।এছারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক উপজেলায় রেখে সেবা দান, হাসপাতালের বিভিন্ন রোগ নিনর্য়ক কার্যক্রম সর্বোপরি চিকিৎসক ও কর্মোচারির অনুপস্থিতীর কারনে এবং আরো বেশ কয়েকটি কারনে বছরজুড়ে অভিযোগ, সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ডাঃ মাহামুদুল হাসান বলেন টেন্ডার কার্যক্রমে কোন অসচ্ছতা ছিলোনা।চিকিৎসক অনুপস্থিত হলে আইনানুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন ও কতৃপক্ষকে জানানো সহ চিকিৎসককে নোটিশ প্রদান করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন প্রত্যেকটি অভিযোগ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ভিত্তিহীন ভাবে করা হচ্ছে।যার দায় তার না।তিনি আরো দাবি করেন অবকাঠামোগত উন্নয়ন,আধুনিকায়নে জাজিরা হাসপাতাল তারি প্রচেস্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের হাত ধরেই করেছেন।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের দায়িত্বে থাকা সিভিল সার্জনকে ফোন দিলে তিনি বলেন কয়েকটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক আছেন।আর চিকিৎসক অনুপস্থিতীর বিষয়টি নিয়ে তিনি ব্যাবস্থা গ্রহনের কথা বলেছেন এবং অভিযোগ পাওয়া প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে তিনি ক্ষতিয়ে দেখবেন।
Design & Developed by BD IT HOST