নিউজ ডেস্ক:
কিছুদিন আগের ঘটনা ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার ও এবাউট অপশন ফুলফিল করা এবং গ্রুপ পোষ্ট নিয়ে লেখার শেষে রাজনীতি নিয়ে কিছু আলোকপাত করছি। অনেকে মাঝেমাঝে আমার এ রকম লেখাতে আচমকা কিছু ভাবেন? আসলে আমি সহজে এসব বিষয় নিয়ে লেখি না। যেহেতু সাহিত্যাঙ্গণের বিশাল সাগরে আমি এক ক্ষুদ্র নাবিক মাত্র তাই সকল মত ও পথের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। কেন লিখলাম?
আগের আইডিটি ডিজেবল হওয়ার পরপর এই আইডিটি খুলেছি এবং সেই সাথে নতুন আইডির সুবাদে বেশ কিছু ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট প্রতিনিয়ত পাচ্ছি। আমার নিজের অনলাইনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের গ্রুপ আছে সেই গ্রুপে সারা বিশ্ব ব্যাপি মুজিবসেনারা প্রচারে- অংশগ্রহণ করে। তাই আমিও সকলের কমেন্ট মাঝে মাঝে দেখি। এদের টাইম লাইনে গিয়ে দেখি সুন্দর স্মার্ট চেহারা বিশিষ্ট যুবক বা মধ্য বয়সি মহোদয়। about option/ এবাউট অপশন একেবারেই খালি।
প্রথমে কিছু সুন্দর কথা পেলাম। এরপরে দেখলাম চামচামী আর চামচে ভরা। এমন চামচামী, যে চামচেরও একটা সাইজ থাকে যেমন, ভাতের চামচ, তরকারীর চামচ, চায়ের চামচ ইত্যাদি-ইত্যাদি। আর এ যেন বে সাইজ চামচ। কথায় বলে, আদার বেপারী তুই কি জাহাজের খবর নিবি? আসলেই তাই। ফেসবুকে সমালোচনা হতে পারে তবে না করাটাই শ্রেয় কারন প্রত্যেকের একটা না একটা রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। তারা কেন অন্যের সাত কাহন শুনবে? যদি হয় সেটা তৈল মর্দন আর অতিভক্তি জনিত। তাও যদি হয় শালীনতার চরম খেলাপ। সেটা তো চরম বিরক্তিকর।
আচ্ছা যে সব ভুঁইফোড় চামচা নিজের দলীয় লেজুর বৃত্তি করতে গিয়ে অন্য দলের শীর্ষ নেতাকে কটাক্ষ করে তারা কি ভেবে দেখে ঐ পদ-পদবীর নেতা নেত্রীর পায়ের নখের সমানও তারা নয়? আদৌ ভাল কোন রাজনীতিক হতে পারবে কিনা, নাকি সারা জীবন পদলেহনকারী হয়ে থাকবে? বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো শীর্ষ নেতা-নেত্রী এমনিতেই হতে পারে না। এর পিছনে লাগে বর্নাঢ্য পারিবারিক, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও ইতিহাস, রাজনৈতিক ময়দানে কঠোর ভূমিকা ও নেতৃত্ব দান। আমার পিতৃকুল ও মাতৃকূল উভয় কূলেই এক সময় রাজনৈতিক দলের ভাল পদ অর্জনকারী দুই একজন ছিল। এখনও আছেন তারা আজ সবাই মরহুম এবং এখনও অনেকে বেঁচে আছেন। এবং সেই সুবাদে আমার রক্তেও আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমার রাজনৈতিক জীবনে কোনদিন শুনিনি তারা একটা অশালীন শব্দ বলেছেন বা লিখেছেন। কখন তারা রাজনীতি করতেন? সেই আশির দশকে আজ যাদের অনেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এখন কি দেখছি?
অথচ এই বাংলার চুরান্ত রাজনীতি শুরু হয়েছে ১৯৫২-৭১ সালের আন্দোলনের হাত ধরে যার সুযোগ্য নেতৃত্বে ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ তার অবদান ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলেই রাজনীতির সংজ্ঞাটা দিনেদিনে পাল্টে যাচ্ছে। রাজনৈতিক সংষ্কৃতি, শিষ্ঠাচারের জায়গায় বেয়াদবী ও উসকানী মূলক মন্তব্য, বিষোদগার দুর্নাম কি কম আলোচিত হচ্ছে? তাও যদি শালিনভাবে লেবেল প্লেয়িং ফিন্ডে হয়, তা মানা যাই। কিন্তু বিএনপি সন্ত্রাসীর মতো দলের হয়ে, যা না মুখ তার চেয়ে বড় কথা কেন? পারবে সারা জীবন সাধনা করে ঐ সম্নানের অধিকারী হতে? আগামী বিশ ত্রিশ বছরে সেই সম্ভাবনা কম। তার মানে নামে-বেনামে ফেইক আইডি দিয়ে এসব নোংরামির কথা এবং বিভিন্ন আওয়ামী লীগের প্রচার পেজ ও গ্রুপে বিএনপি জামাতি কর্তৃক সরাসরি গালি দিয়ে আক্রমণ করা এটা কোন ধরনের রাজনীতির সংজ্ঞা বেগম খালেদা জিয়ার সন্তানদের? বিএনপির নেতা কর্মী এরা নাকি দল থেকে উন্নত চরিত্র গঠন ও সুনাগরিক হওয়ার মহা তালিম পাচ্ছে? তাহলে হে যুবক তুমি কি শিক্ষা দেখালে? যখন একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্র নেতার সাথে যুক্তিতে হেরে গিয়ে খারাপ ভাষায় তার মা বোন তুলে গালি দিচ্ছো? এই কি তোমার আদর্শিক শিক্ষা? আমি বলবো এটাই বিএনপির নেতা কর্মীদের শিক্ষা। কারন আগের গরু যেদিকে যায়, পিছের গরুও ঠিক সেইদিকে যায়, মেজর জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া এরা অশ্লীলতার জনক। অশ্লীল কাজ আর অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি। একটা দৈহিক আর আরেকটা জিভের। ইংলিশে একটি কথা আছে — Charity begins at home.
পরিশেষে সবাইকে বলছি, যদি জবানের লাগাম টেনে না ধরতে পারেন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ আপনি হবেন। আমার মনে হয় আর বেশি কিছু বলার দরকার নেই। সকলকে ধন্যবাদ।
।।জয় বাংলা – জয়,বঙ্গবন্ধু।।
-লেখকঃ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা,
-ইকবাল আহমেদ লিটন,,সদস্য সচিব,সচিব , আয়ারল্যান্ড ও দৈনিক অভিযোগ বার্তার প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদক।