প্রতিনিধি ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ , ৯:০১:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের গান, কিংবা আধুনিক গান বা আঞ্চলিক গান যাঁর কন্ঠে অপুর্ব দ্যোতনায় ফুটে উঠে তিনি হলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিখা তনচংগ্যা। কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া মোবাইল বা মানুষের মুখ হতে কিংবা বেতার টিভি হতে শুনে শুনে হুবহু গান গেয়ে মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছেন ১৪ বছর বয়সী শিখা। পিতামাতা হারা শিখা তনচংগ্যার বাড়ী রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ভালুকিয়া গ্রামে। তাঁর পিতা মৃত শুক্র তনচংগ্যা এবং মাতা মৃত শাসনপতি তনচংগ্যা। জন্মান্ধ শিখা জন্মের ৩ বছরের মাথায় মাতৃহারা হন এবং ২০২০ সালে পিতৃহারা হন। তাই বড় বোন ও ভাইয়ের সংসারে তাঁর বেড়ে উঠা। ইতিমধ্যে রাইখালী ইউনিয়ন এর বিভিন্ন উৎসবে তিনি গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের প্রশংসায় ভাসছেন। তাঁর সুমধুর কন্ঠে গান শুনে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। স্থানীয় একজনের কাছে শুনে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) শিখাকে তাঁর অফিসে নিয়ে আসতে বলেন।তারই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ইউ এন ও অফিসে এসে শিখা বেশ কয়েকটি দেশের গান ও আধুনিক গান পরিবেশন করে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং সুধীমহলের অকুন্ঠ ভালোবাসা পান। এইসময় তাঁকে নগদ ১১ হাজার টাকা পুরস্কার দেন উপস্থিত অনেকে। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান তাকে সরকারি প্রতিবন্ধী স্কুলে পড়ার ও গান শেখানোর জন্য সু ব্যবস্হা করে দিবেন বলে জানান। শিখা তনচংগ্যা এই প্রতিবেদককে জানান, আমার খুব ইচ্ছে বেতার ও টেলিভিশনে গান করা। আমি শুনে শুনে গান গাই। আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে পড়তে চাই। রাইখালী প্রতিবন্ধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ বড়ুয়া জানান, শিখা তনচংগ্যার ভবিষ্যত স্বপ্ন ভালো গায়িকা হওয়া এবং লেখা পড়া করে শিক্ষিত হওয়া।তাকে যদি সরকারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে লেখা পড়া ও গান শেখানো জন্য প্রশিক্ষনের সু ব্যবস্হা করা হলে তাঁর খু্ব উপকার হতো। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান,শিখা আমাদের সম্পদ।প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা না থাকলেও শিখা খুব গুছিয়ে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে আর দরদ কন্ঠে গান করে।ওর ইচ্ছে পুরনের জন্য কোনো পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন হলে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। ছবির ক্যাপশনঃ গত বৃহস্পতিবার কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের ইউএনও সহ শিখা।
Design & Developed by BD IT HOST