• নীতিহীন ইমাম কতৃক হয়রানি এবং গুম/ হত্যার হুমকির শিকার কাওমী পড়ুয়া এক মেধাবী ছাত্র

      প্রতিনিধি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৮:৪৫:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    দোয়ারা বাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    দোয়ারা বাজার বাংলা বাজার ইউনিয়নের হাফিজ আরাফাত আলী(২০) নামের একজন কাওমী মাদ্রাসার ছাত্র কে গুম ও প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে শাসিয়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকার এক মসজিদের ইমাম; মৌলবী আব্দুল মুকিত, বাংলাবাজার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাশতঁলা চৌধুরী পাড়া বাইতুন নুর পাকা মসজিদের ইমাম ও এক মুসল্লী একই সাথে যুক্ত হয়ে একইসময়ে ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল ফোন, ০১৭৮১১১৮৮৬৮,নাম্বার দিয়ে নানানপ্রকার অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ অন্যায়ভাবে অযথা দোষারোপ করা হয়েছে এবং জোরপূর্বক গুম খুন করার হুমকি দিয়েছে, এবং এর পাশাপাশি হুমকি ধামকি দিয়ে বলেছে যে আমি তর মতো ছেলে কে তুলে নিয়ে যাবো, কেউ নেই এবং এই এলাকার কোন কুত্তার বাচ্চা নাকি নেই উনাকে আটকাবার, আমাকে আটকানোর মতো এমন কোন মানুষ আমি দেখি না। এবং সে ইমাম আরও বলেছে তর মতো ছেলে কে আমি হত্যা করে ফেলবো খুন করে ফেলবো তকে (আরাফাত আলী) কে এই এলাকা থেকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
    একটা ফেইসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এই হুমকি ধামকি দেওয়া হয়, ফেইসবুক স্ট্যাটাস টা হুবহু তুলে ধরা হলোঃ “পৃথিবীর একমাত্র বক্তা যিনি গানের আসরে গিয়ে দোয়া করেন,যেন সুন্দরভাবে গানের আসর সফল হতে পারে,আরো কোথাও গানের আসর হলে দাওয়াত দিতে পারেন”।
    এই সামান্য বিষয় কে কেন্দ্র করে তিনি এই এলাকার সর্বস্তরের জনগণকে সরাসরি কুকুর বলে সম্মোধন করে গালিগালাজ করেছে। এবং বেশ কয়েকজন কে হত্যার ভয় ভীতি দেখিয়েছে এই ইমাম।
    প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে শাসিয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে।
    এইদিকে প্রাণনাশের হুমকির শিকার হয়ে হাফিজ আরাফাত আলী বলেন, আমি আমার জানামতে উনার সাথে কোন প্রকার ভুল করি নাই,উনাকে নিয়ে আমি ফেইসবুকে কোন কিছু লেখি নাই, একটা লিখা আমি কপি পেস্ট করছি, কে বা কারা উনাকে নিয়ে কি লিখেছে আমি তা জানিনা, আর এই লেখা কে কেন্দ্র করে তিনি আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়েছেন, আমি রীতিমত বিব্রত বোধ করছি, এবং আমি প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেবো, প্রশাসনের শরণাপন্ন হব।
    আবার এদিকে আরাফাত আলী এলাকার স্থানীয় নেতৃবর্গ ব্যক্তিদের কে এ বিষয়ে অবগত করেন।

    এসময় আরাফাত আলীর চাচা জনাব শামসু মিয়া বলেন, আমার ভাতিজার যদি কিছু হয় এর দায়বদ্ধতা ঐ ইমাম কে নিতে হবে, আমার ভাতিজা এমন অপরাধ করতে পারেনা।
    এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথমে এলাকার মানুষের কাছে বিচার দিয়েছি, যদি সুস্পষ্ট বিচার না পাই তাহলে আইনের আশ্রয় নিব।

    আরও খবর

    Sponsered content

    Design & Developed by BD IT HOST