মানিকগঞ্জে পুলিশের তৎপরতায় মানব পাচার থেকে রক্ষা পেয়েছে দুই শিক্ষার্থী। নিখোঁজের চার দিন পর তাদেরকে উদ্ধার কর হয়। এ ঘটনায় পাচারকারী দলের এক নারী সদস্যকেও গ্রেপ্তার করেছে সাটুরিয়া থানা পুলিশ। গত ০৪/০৩/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় আসামী নুসরাত জাহান তানজিনা , মোসাঃ মালা বেগম @ শারমীন ও হৃদয় (৩৫) এর সহায়তায় ঐ দুই শিক্ষার্থীকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়া রাখে। মালা বেগম ও হৃদয় ঐ দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের দিয়ে তাদের নিয়মিতভাবে পালাক্রমে ধর্ষণ করায়। উক্ত বিষয়টি নিয়ে সাটুরিয়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১০(২); তৎসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) ধারায় মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর পর শিক্ষার্থীদের পরিবার ও পুলিশের চাপে বুধবার সন্ধ্যার পর হৃদয় ঐ দুই শিক্ষার্থীকে বাড়ির উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠিয়ে দেয়। অতঃপর গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে নামার পর সাটুরিয়া থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। গতকাল মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এক অনুষ্ঠিত হয় উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম-বার,পুলিশ সুপার, মানিকগঞ্জ বলেন, সাটুরিয়াতে একই দিনে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে জানতে পারেন নুসরাত নামে এক নারী ওই দুই শিক্ষার্থীকে চাকুরির লোভ দেখিয়ে ঢাকায় পাচার করেছে। উদ্ধার হওয়ার শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদেরকে অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া দুই শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এই চক্রটি গ্রামের সহজ সরল অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে দেহব্যবসা পরে দেশের বাইরে পাচার করে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এসময় মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব সুজন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব ইমতিয়াজ মাহবুব এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।