সানজিদ মাহমুদ সুজন, জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝীরঘাট এলাকায় অবস্থিত রেজিস্ট্রিশন বিহীন,এম্বিশন হাই স্কুলের শহীদ মিনার ও স্কুলের লাইব্রেরিতে ভাংচুর চালিয়েছে সপ্তম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী শান্ত ইসলাম(১৩) ও তার সহযোগী বিল্লাল ও ফরিদ নামের বখাটে।এর পিছনে আরো আছে এলাকার কিছু লোকজন,এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এম্বিশন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম কাইউয়ুম হক জানান, আমরা সোমবার সারাদিনব্যাপী পরিশ্রম করে শহীদ মিনার এবং ফুলের ডালা সাজাই। কিন্তু রাতে আমাদেরই কয়েকজন শিক্ষার্থী স্থানীয় কয়েকজনের প্ররোচনায় এগুলো ভাংচুর করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। প্ররোচনা প্রদানকারীরা মূলত ইতিপূর্বে আমাদের শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করায় অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একজন স্টাফ বলেন,স্কুলে প্রতিসঠার পরপরি স্কুল দূটি অংশে বিভক্ত হয়ে পরে।এরা সবসময় নিজেদেরকে ভালো শিক্ষক প্রমানে করেনা এমন কোন কিছু নেই।অযোগ্যতার কারনে, প্রাইভেট, কোচিং এর জন্য দায়ি।অনেকেই আছে অনিচ্ছা সত্যেও স্কুল থেকে চলে গিয়েছে গত বছর,যারা স্কুলের উপর বিরক্ত। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের চুন্নু হাওলাদার জানান, আমরা ভাংচুরের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক জরুরি সভা ডেকে বসে একটি লিখিত রেজুলেশন রাখি। এছাড়া আগামিকাল আমরা আরও একটি সভা ডেকেছি, উক্ত সভায় এই ঘটনায় আমাদের করনীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এম্বিশন হাই স্কুলের শহীদ মিনার এবং স্কুলের লাইব্রেরিতে ভাংচুরের একটি ঘটনা আমরা শুনেছি, তবে এখনও পর্যন্ত কারও থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: কামরুল হাসান সোহেল জানান, মাঝীরঘাটের এম্বিশন হাই স্কুলের শহীদ মিনার এবং লাইব্রেরিতে ভাংচুরের বিষয়টি শুনেছি।পূর্বে যে ঘটনাই ঘটে থাকুক শহীদ মিনার অবমানোনা করা,খুবিই লজ্জা জননক।বিষয়টি সম্পর্কে আমি খোঁজ-খবর নিয়ে ঘটনা সত্যি হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।