প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২৩ , ৮:১০:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার নয় দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলে পুনর্বাসনের চাল পাননি ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার বেশিরভাগ জেলে। এতে অভাব-অনটন ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে বেকার জেলেদের। দেনা আর মহাজনের দাদনের দায় মাথায় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
সংকট দূর করতে ইলিশ নিষেধাজ্ঞা সময়ের মধ্যেই সরকারি চাল পেতে চান তারা। তবে মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন খুব দ্রুত এ চাল বিতরণ প্রক্রিয়া শেষ হবে।
এদিকে নিবন্ধিত হয়েও ২২ হাজার জেলের ভাগ্যে জুটবে না চাল। এতে ক্ষোভ আর অসন্তোষ বাড়ছে ওই সব জেলেদের।
ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ। আর তাই, বেকার জেলেদের চলছে দুর্দিন। আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম সংকটে পড়েছেন তারা।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে যেতে না পারায় একদিকে সংসারের চিন্তা, অন্যদিকে এনজিও আর মহাজনের ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলেরা। এমন বাস্তবতায় জেলেদের জন্য ৮০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তা পৌঁছায়নি নয় দিনেও। এতে চরম জীবিকা সংকটে পড়েছেন জেলেরা।
উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার সময় পার করছেন জেলেরা। কেউ জাল বুনছেন, কেউবা নৌকা মেরামত করে সময় পার করছেন।
সিরাজ নামের এক জেলে বলেন, নয় দিন হয়ে গেছে এখনও চাল পাইনি, কবে পাবো তাও জানিনা।
এনজিও থেকে কিস্তি নিয়ে সংকটে পড়েছেন আরিফ,আলমগীর মাঝি, তারা বলেন, নদীতে যাই না, উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কিভাবে সংসার চালাব আর কিভাবে কিস্তি দিব?
এমন সংকট শুধু তাদের নয়, একই অবস্থা বেশিরভাগ জেলের। এমন অবস্থায় তারা দ্রুত চাল পাওয়ার দাবি করেছেন।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসাইন এর দেওয়া তথ্য মতে, উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ২২ হাজার। এদের মধ্যে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ হয়েছে ১৩ হাজার ৭ শত জেলের নামে। যে কারণে প্রায় ৮হাজার জেলে সরকারি চাল থেকে বঞ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ইলিশ নিষেধাজ্ঞার এ মাসে যাতে এনজিওগুলো জেলেদের কাছ থেকে কিস্তি না তোলে সে জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
নিবন্ধিত সব জেলেকে চাল দেওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাঠান মো: সাইদুজজামান বলেন, বিষয়টি মৎস্যবিভাগকে বলা হয়েছে। যাতে নিবন্ধিত সব জেলে চাল পান সেজন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করার মাধ্যমে অসহায় জেলেদেরকে ন্যায্য অধিকার পাইয়ে দেওয়ার সু ব্যবস্থা গ্রহন করতে।
Design & Developed by BD IT HOST