প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২৩ , ৭:১২:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
ঘাটাইল (টাংগাইল) প্রতিনিধি:
টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলার ৫ নং আনেহলা ইউনিয়নের ডাকিয়া পোটল গ্রামের ফটিক তালুকদারের মেয়ে মর্জিনা (২১) পার্শ্ববর্তী লোকেরপাড়া ইউনিয়নের লোকেরপাড়া গ্রামের শাহ আলম তালুকদারের ছেলে মাহবুব তালুকদার (২৫) এর বাড়িতে এক তরুনীর বিয়ের দাবীতে গতকাল মংগলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়। জানা গেছে, প্রেমিক মাহবুবের লোকজন গতকাল রাতে উক্ত তরুনীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে ঐ তরুনী লোকেরপাড়া ইউনিয়নের ১,২,৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার কহিনুর বেগমের (৫০) বাড়িতে ঘরবন্ধী অবস্থায় আছেন। এবিষয়ে সাংবাদিকরা উক্ত মহিলা মেম্বারের বাড়িতে ভুক্তভোগী তরুনীর সাথে কথা বলতে গেলে মহিলা মেম্বারের ভাতিজা হুমায়ন কবির (৪৮) সাংবাদিকদের কাজে বাধা প্রদান করেন এবং তরুনী মর্জিনাকে গালিগালাজ করে বক্তব্য দিতে নিষেধ করেন। এদিগে প্রেমিক মাহবুব তালুকদার ঘঠনার পর হতে লাপাত্তা। খোজ নিয়ে জানা যায়, তরুনী মর্জিনার সাথে প্রেমিক মাহবুবের প্রায় ছয় বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ভূক্তভোগী তরুনী লোকেরপাড়া ও এস ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করার পর প্রেমিক মাহবুব তাকে করটিয়া সাদত কলেজে ভর্তি করান। তরুনী বলেন, প্রেমিক মাহবুবকে বিয়ের কথা বললে সে বিভিন্ন রকম তালবাহানা শুরু করে এদিগে প্রেমিক মাহবুবের চাচা রফিকুলের কাছে ভুক্তভোগী তরুনী কয়েকবার তাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের বিষয়টি জানান এবং তাকে সামাজিক ও শরিয়াহ মোতাবেক স্বীকৃতির মাধ্যমে বিয়ের কথা প্রস্তাব দেন। কিন্ত চাচাও বিষয়টি এরিয়ে যান তাই বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ না করায় বিয়ের দাবীতে অবস্থান নেয়। প্রেমিক মাহবুবের চাচা রফিকুলের কাছে এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারবেন না বলে দায় এরিয়ে যান। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার কহিনুর বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। আমাকে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিলন এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম আব্দুল বারী সাহেবের সুপারিশে আমার হেফাজতে রেখেছি। এবিষয়ে জানতে চাইলে লোকেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল হক মিলন বলেন, বিষয়টি গতকাল (মংগলবার) জেনেছি এবং জানার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য (২নং ওয়ার্ড) মিলন মেম্বারের মাধ্যমে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার কহিনুর বেগমকে সাথে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তারা সমাধান করার চেষ্টা করে না পেরে আমাকে জানিয়েছে, ছেলের (প্রেমিক) পক্ষ থেকে সমাধান করার বিষয়ে অনাগ্রহী এবং তারা আমার কাছে আসবে না। আমি বিষয়টি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেবকে ইতিমধ্যে অবগত করেছি। মেয়ের পক্ষের লোকজন আমার কাছে এসেছিলো, তাদেরকে আমার পরিষদে অথবা থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। মহিলা মেম্বারের ভাতিজা হুমায়ন কবির সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিতে পারে না, বাধা দিয়ে থাকলে নিশ্চয়ই ঠিক করেননি। সর্বশেষ বিয়ের দাবীতে অনশনরত তরুনীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে জানান, মহিলা ইউপি সদস্য কহিনুর বেগম ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে লোকেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন এবং সেখানে তাকে বিভিন্ন রকম চাপ প্রয়োগ করে অভিযুক্ত প্রেমিক (মাহবুব) বাড়ীতে ফিরে আসলে পরবর্তীতে বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
Design & Developed by BD IT HOST